1. voktatv1@gmail.com : ভোক্তা সমাচার : ভোক্তা সমাচার
  2. info@www.dailybhoktasamachar.com : ভোক্তা সমাচার :
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে শাহবাগ ব্লকেড বরিশাল–১ আসনে গণঅধিকার পরিষদের মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীর কর্মসূচিতে বোমা হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছে গণঅধিকার পরিষদ। শ্রমিক অধিকার পরিষদের আয়োজনে আমি মুগ্ধ, নড়াইল ২ আসনের প্রার্থী লায়ন নুর ইসলাম,,,,,,, বাঁশখালীতে দেশি অস্ত্রসহ দুজন গ্রেফতার হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক গ্রেফতার ভূলন্ঠিত মানবতা, আইনের শাষণ কোথায়? ওসি প্রদীপের আক্রোশের শিকার সাংবাদিক ফরিদুলের ৬ মামলা প্রত্যাহার না হওয়ায় অসন্তোষ সন্ত্রাস দমনে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত সেই গৃহকর্মী গ্রেপ্তার মোহাম্মদপুরে ছুরিকাঘাতে নিহত মা ও মেয়েকে নাটোরে দাফন ভারতের এবার কৃষিপণ্যে শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

জাতির জেগে ওঠার এক আলোকবর্তিকা: সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী ও ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থান”

  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫
  • ২১৮ বার পড়া হয়েছে

লেখক মুহাম্মদ ওসমান

ককসবাজার প্রতিনিধি

২০২৪ সাল। সময়টা ছিল গভীর অন্ধকারের, রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন, বাকস্বাধীনতা হরণ, গণতন্ত্রহীনতা ও ভয়ংকর এক অস্থিরতার সময়। রাষ্ট্রযন্ত্র যখন ফ্যাসিবাদের রূপ নেয়, তখন মানুষের কণ্ঠরোধ করা হয় গুলি ও জুলুমের দ্বারা। সেসময়ই এক অসম সাহসী কণ্ঠ উচ্চারিত হয়েছিল, কলমে ও কণ্ঠে, রাস্তায় ও রাজপথে—সেই কণ্ঠের নাম ছিল মিজানুর রহমান চৌধুরী।

তিনি একমাত্র সম্পাদক ছিলেন যিনি কলমের মাধ্যমে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছেন, আবার রাজপথে নেমে আসতেও দ্বিধা করেননি। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থান তথা ‘জুলাই বিপ্লব’ ছিল গণতন্ত্র ও মুক্তচিন্তার পুনরুদ্ধারে একটি যুগান্তকারী ধাপ। সেই বিপ্লবের সম্মুখ সারিতে ছিলেন সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী। তাঁর নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম পায় একটি স্পষ্ট লক্ষ্য ও গতি।

শ্রম, মেধা, অর্থ—সবকিছু ব্যয় করে এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, তিনি সরাসরি এই ঐতিহাসিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। শুধু প্রতিবাদ নয়, বিকল্প বাংলাদেশের রূপরেখাও তাঁর কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছে—যা হাজারো তরুণ-তরুণীকে উদ্বুদ্ধ করেছে একটি নতুন ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখাতে।

সাহসিকতার এমন প্রকাশ খুব কমই দেখা যায় ইতিহাসে

বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা বিরল—যেখানে একজন সম্পাদক শুধু প্রতিবাদমূলক সম্পাদকীয় লেখেননি, বরং নিজের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মাঠে নেমেছেন। তাঁর কণ্ঠে ছিল প্রত্যয়, মুখে ছিল সাহসের ভাষা, আর চোখে ছিল পরিবর্তনের আগুন।

যখন রাষ্ট্র দমননীতি চূড়ান্ত রূপ ধারণ করেছিল, বিপ্লবী ছাত্রদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছিল, তখনও অনেক সম্পাদকরাই ছিলেন নিরুত্তাপ ও নিরাপদ দূরত্বে। কিন্তু মিজানুর রহমান চৌধুরী ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সরাসরি স্লোগান দিয়েছেন রাস্তায়, পুলিশের চোখ রাঙানি কিংবা গোয়েন্দা হুমকিতে ভীত হননি।

তিনি জানতেন—জাতির মুক্তির সংগ্রামে জীবন বিপন্ন হলেও তাতে লজ্জা নেই, বরং গৌরব আছে।

অসুস্থ শরীর, দুর্বলতা—কিছুই তাকে থামাতে পারেনি

মিজানুর রহমান চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরেই ছিলেন একাধিক জটিল রোগে আক্রান্ত। অনেকে যখন তাঁর স্বাস্থ্য দেখে বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছিলেন, তখন তিনি বলেন— “আমার শরীর দুর্বল হতে পারে, কিন্তু বিবেক দুর্বল নয়।” এই একটি বাক্যই বলে দেয়, তাঁর লড়াই ছিল কতটা মাটির, মানুষের ও মননের সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্ত।

স্কুলপড়ুয়া মেয়েদের আন্দোলনে নামানো: ইতিহাসে নজিরবিহীন অধ্যায়

ইতিহাসে এমন ঘটনা পাওয়া বিরল, যেখানে একজন সম্পাদক নিজেই নেতৃত্ব দিয়েছেন, এবং নিজের স্কুলে পড়ুয়া মেয়েদের আন্দোলনের মাঠে নামিয়েছেন। এটি শুধু সাহসিকতা নয়—একটি সময়ের প্রতিরূপ।

জাতির ভবিষ্যৎ গড়ার লড়াইয়ে তিনি বিশ্বাস করতেন, শিশুদেরও শেখাতে হবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে। তাঁরা যেন বড় হয়ে হয়ে ওঠে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর মানুষ। তাঁর কন্যারা ছিলেন আন্দোলনের মিছিল, মানববন্ধন ও গণসংগীত কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নীরবতা: মূল্যায়নের অভাব

দুঃখজনক হলেও সত্য, এতবড় ত্যাগ, সাহস ও নেতৃত্বের পরেও

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মিজানুর রহমান চৌধুরীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেনি।

তিনি ছিলেন ২০২৪-এর আন্দোলনের একমাত্র সম্পাদক, যিনি প্রকাশ্য দিবালোকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, অথচ নতুন সরকার তাঁর ত্যাগকে এড়িয়ে গেছে নির্লজ্জভাবে।

“আমি ইতিহাসকে ভয় পাই না” — সম্পাদক চৌধুরীর ঘোষণা

মিজানুর রহমান চৌধুরীর সবচেয়ে আলোচিত একটি বক্তব্য ছিল—

“আমি ইতিহাসকে ভয় পাই না, কারণ আমি জানি, সত্য একদিন জিতবেই। আজ না হোক, কাল। জীবিত না হোক, মৃত অবস্থায় হলেও।”

এখন যখন সময় কিছুটা পেরিয়ে গেছে, ইতিহাসের চোখ ধীরে ধীরে পরিষ্কার হচ্ছে—তখন তাঁর সেই কথাগুলোর মানে আরও গভীরভাবে অনুভব করা যাচ্ছে।

শেষ কথা: ইতিহাস যাকে গোপন রাখতে পারবে না

সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরীর ত্যাগ, সাহসিকতা ও নৈতিক দৃঢ়তা এমন এক ইতিহাস তৈরি করেছে, যা চাইলেও মুছে ফেলা যাবে না।

তিনি ছিলেন জাতির বিবেক, জেগে ওঠা সময়ের পথপ্রদর্শক, এবং একটি পরিবারকে আন্দোলনের প্রতীকে রূপান্তরকারী এক দুর্দমনীয় মানবিক শক্তি।

যদি এই জাতি কখনো তার আসল ইতিহাসের মুখোমুখি হতে চায়, তবে তাকে মিজানুর রহমান চৌধুরীর নাম স্মরণ করতেই হবে।

যে কলমে সাহস ছিল, সেই কলম রাজপথে দাঁড়িয়ে গর্জেছিল। যে হৃদয়ে ভালোবাসা ছিল দেশের জন্য, সেই হৃদয় রাষ্ট্রের ভয়কে উপেক্ষা করেছিল।

এই মানুষটিই হলেন—মিজানুর রহমান চৌধুরী।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট