ভারত থেকে কৃষিপণ্য আমদানির ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করতে পাবেন বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি বলেন, ভারত থেকে চাল আমদানি এবং কানাডা থেকে সার আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। কারণ উভয় দেশের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে আলোচনায় উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি এখনো হয়নি।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে তিনি এ সতর্কবার্তা দেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমদানি দেশীয় উৎপাদকদের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করেছে। আরেরিকান উৎপাদকদের এ চ্যালেঞ্জের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তিনি শুল্ককে আক্রমণাত্মকভাবে বার বার ব্যবহার করছেন।
আমেরিকান কৃষকদের জন্য কয়েক বিলিয়ন ডলারের একটি কৃষি ত্রাণ প্যাকেজ উন্মোচন করার সময় তিনি এ বক্তব্য দেন। তিনি এসময় ভারত ও অন্যান্য এশীয় রপ্তানিকারক দেশগুলোর কাছ থেকে কৃষিপণ্য আমদানির তীব্র সমালোচনা করেন।
তিনি জানান, ট্রাম্প প্রশাসন আমেরিকান কৃষকদের জন্য ১২ বিলিয়ন ডলার অর্থনৈতিক সহায়তা বরাদ্দ করবে, এর অর্থায়ন হবে বাণিজ্য অংশীদারদের কাছ থেকে।
তিনি দাবি করেন, আমরা আসলে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার নিচ্ছি, এ বিষয়ে যদি আপনারা একটু ভেবে দেখেন। অন্যান্য দেশ এমনভাবে আমাদের সুযোগ নিয়েছে, যা আগে কেউ দেখেনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, কৃষকরা আমেরিকার জাতীয় সম্পদ, আমেরিকার মেরুদণ্ডের অংশ। মার্কিন কৃষিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য শুল্কের সুবিধা কাজে লাগানো তার কৌশলের কেন্দ্রবিন্দু।
বারবার উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া মুদ্রাস্ফীতি এবং হতাশাজনক পণ্যমূল্যের ফলেই খামার অর্থনীতিতে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
চাল আমদানির নিয়ে দীর্ঘ এক আলোচনার সময় ভারত একটি উদাহরণ হিসেবে উঠে আসে। লুইজিয়ানার এক উৎপাদক দক্ষিণ অঞ্চলের চাষিদের জন্য ভারতের পণ্য আমদানিকে ধ্বংসাত্মক বলে বর্ণনা করেন।
উৎপাদক বলেন, ভারতীয় সংস্থাগুলো মার্কিন খুচরা চালের বাজারে সবচেয়ে বড় দুটি ব্র্যান্ডের মালিক। একথা শুনে ট্রাম্প বলেন, ঠিক আছে তাহলে আমরা এর যত্ন নেব। শুল্ক, দুই মিনিটের মধ্যে সমস্যার সমাধান করবে।
গত এক দশকে ভারত-মার্কিন কৃষি বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে ভারত বাসমতি, অন্যান্য চাল পণ্য, মসলা এবং সামুদ্রিক পণ্য রপ্তানি করে এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাদাম, তুলা এবং ডাল আমদানি করে।
তবে ভর্তুকি, বাজার প্রবেশাধিকার এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার অভিযোগ বিশেষ করে চাল ও চিনি সংক্রান্ত বিরোধগুলো পর্যায়ক্রমে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় চাপ সৃষ্টি করেছে।