শ্রমিকরা জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটি চাইতে গিয়েছিলেন জাকির। কিন্তু ছুটি না দিয়ে তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার কারণে তিনি অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন। লাফিয়ে পড়ার পর তিনি গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত ৯টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালালে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ ঘটনায় পুলিশের ১১ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক। শ্রমিকদের অভিযোগ, আন্দোলন চলাকালে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে।
এ বিষয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘উত্তেজিত শ্রমিকরা গার্মেন্টসে ভাঙচুর করতে এলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে। একপর্যায়ে পুলিশের ওপরও হামলা চালায় শ্রমিকরা। ভাঙচুর করে।
পরে বাধ্য হয়ে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এর আগে গার্মেন্টসের আট তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে জাকির হোসেন (২৫) নামে এক শ্রমিক মারা গেছেন। সোমবার (২ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এ সংঘর্ষের ঘটনার সূত্রপাত।
শ্রমিকদের দাবি, ছুটি না দেয়ায় বেতন কর্তন, নির্যাতন অপমানে শ্রমিক জাকির হোসেন আত্মহত্যা করেছেন। এই ঘটনার পর আন্দোলন শুরু করেন শ্রমিকরা।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এলাকাটিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।