২ জুন মাত্র ১৭ বছর বয়সে জীবনের নতুন বছরে পা রেখেছিলেন সানা ইউসুফ। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন জন্মদিনের ভিডিও। চোখে ছিল স্বপ্ন, মুখে ছিল হাসি।
কে জানত জন্মদিনের সেই হাসিই হবে তার জীবনের শেষ হাসি! মাত্র ১০ ঘণ্টা পর, সব কিছু থমকে গেল এক ঝলকে গুলির শব্দে।
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে প্রাণ হারান এই উদীয়মান টিকটক তারকা। এসময় জি-থার্টিন সেক্টরের নিজ বাড়িতে ছিলেন তিনি। পুলিশ জানায়, এক অজ্ঞাত ব্যক্তি খুব কাছ থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে, চিকিৎসকরা সানাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের পেছনে এখনও কোনো স্পষ্ট কারণ জানা যায়নি। তবে পুলিশ ধারণা করছে, এটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত।
সানা ইউসুফ একজন স্বপ্নবাজ কনটেন্ট ক্রিয়েটর। ফ্যাশন, লিপ-সিঙ্ক, জীবনধারা- তার ভিডিওগুলোতে ছিল একধরনের সরলতা আর সাহস। মাত্র ১৭-তেই হয়ে উঠেছিলেন হাজারো তরুণের অনুপ্রেরণা।
তার মৃত্যু যেন কেড়ে নিয়েছে একটি সম্ভাবনার ভবিষ্যৎ। যে মেয়েটি ভেবেছিল শুধু ক্যামেরার সামনে হাসবে, সমাজকে বার্তা দেবে, সে হারিয়ে গেল সমাজেরই এক অন্ধকার গলিতে।
এই ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দা এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলছেন, তরুণ কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।
সানার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন এবং অপরাধীর দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন।
এদিকে, মানবাধিকার সংগঠনগুলোও এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং নারীদের নিরাপত্তা ও অনলাইন ব্যক্তিত্বদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।