1. voktatv1@gmail.com : ভোক্তা সমাচার : ভোক্তা সমাচার
  2. info@www.dailybhoktasamachar.com : ভোক্তা সমাচার :
শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০৯:১২ পূর্বাহ্ন

ঈদুল আযহা সামনে রেখে ‌ব্যস্ত সময় পার করছেন বরিশালের কামারেরা

  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৮ মে, ২০২৫
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

সোহেল হাওলাদার বরিশাল প্রতিনিধি

দরজায় কড়া নাড়ছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহা সামনে রেখে ‌ব্যস্ত সময় পার করছেন বরিশালের কামারেরা । আর কিছুদিন পরেই কুরবানির ঈদ।এই ঈদের অন্যতম কাজ হচ্ছে পশু কুরবানি করা। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম প্রস্তুতি ব্যস্ত সময় পার করছেন বরিশালের কামার শিল্পের কারিগররা। কয়লার দগদগে আগুনে লোহাকে পুড়িয়ে পিটিয়ে তৈরি করছেন সব ধারালো সামগ্রী,তবে এসব তৈরিতে এখনো আধুনিকতার কোন ছোঁয়া লাগেনি।

পুরানো সেকালের নিয়মেই চলছে আগুনে পুড়ে লোহা হতে ধারালো সামগ্রী তৈরির কাজ,মুসলিম ধর্মের অনুসারীরা আল্লাহকে রাজি করতে পশু জবাই করে থাকে। এই পশু জবাইয়ের জন্য প্রয়োজন হয় বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জামাদি। মাংস কাটা ও কুরবানির পশু জবাই করার বিভিন্ন ধাপে ছুরি, দা, চাপাতি এসব ব্যবহার করা হয়।

তাই পশু কুরবানিকে কেন্দ্র করে কামার শিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছে। দগদগে আগুনে গরম লোহা পিটাপিটিতে মুখর হয়ে উঠেছে বরিশাল জেলায় বাকেরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন কামার পল্লীগুলো। প্রস্তুত করছেন জবাই সামগ্রী।

ঈদে হাজার হাজার গরু,খাসি,ভেড়া,মহিষ ইত্যাদি পশু কুরবানি করা হয়ে থাকে। এসব পশু জবাই থেকে শুরু করে রান্নার চুড়ান্ত প্রস্তুত পর্যন্ত দা-বঁটি, ছুরি, চাপাতি ইত্যাদি ধাতব হাতিয়ার আবশ্যকীয় হয়ে যায়। ঈদের আগেই পশু জবাই করার ছুরি, চামড়া ছাড়ানোর ছুরি, চাপাতি, প্লস্টিক ম্যাট, চাটাই, গাছের গুঁড়িসহ সবকিছু প্রস্তুত রাখতে হয়।

বুধবার (২৮মে) বিভিন্নি কামারের দোকান পরিদর্শন করে দেখা যায় প্রতিবছরের মত এ বছর বিক্রি কম বলে জানায় কামারের রা আরো জানায়,

ছুরি আকার ভেদে ৫০- ১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার অন্যান্য হাটবাজারেও কামার কারিগরদের উৎপাদিত দা-ছুরি বিক্রি করা হয়,তারা আরো জানান, এ পেশায় অধিক শ্রম দিতে হয়।

জীবিকা নির্বাহে কষ্ট হলেও শুধু বাপ-দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে এ পেশাটিকে তারা এখনও আঁকড়ে ধরে আছেন,বিভিন্ন সময় এসবের চাহিদা কম থাকলেও কুরবানির পশুর জন্য বেশি প্রয়োজন হওয়ায় সকলেই এখন ছুটছেন কামারদের কাছে। আর এতেই এক মাসে পেশাটি জমজমাট হয়ে উঠেছে। তবে এসব সামগ্রী তৈরির উপকরণ কয়লা ও লোহার দাম বেশি হওয়ায় লাভের পরিমাণ কমে গেছে।

এদিকে ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মৌসুমী কামারের দেখা মিলছে। তারা এলাকার বন্ধ দোকান ঘর এক মাসের জন্য ভাড়া করে অথবা খোলা জায়গায় বসে দা, ছুরি, চাকু তৈরি, শান ও মেরামত করতে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করলেও ঈদের পরে আর তাদের দেখা মিলে না।

মনোরঞ্জন কর্মকার,কুরবানির পশু জবাই করা,মাংস কাটা,ও চামড়া ছিলানোর জন্য ধারাল ছুরির প্রয়োজন। ঘরে থাকা দা, বঁটি, ছুরিতে মরিচা থাকায় শানয়ের জন্য নিয়ে এসেছি। তবে অনেকে নতুন কুরবানী দিচ্ছেন তারা নতুন সামগ্রী কিনতেও দেখা গেছে।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট