লোহাগড়া উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে ফ্যামিলি কোয়ার্টার দখল ও অফিস ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক অনিয়ম-অসচেতনতার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা কামরুজ্জামান মিয়া একজন ব্যাচেলর হওয়া সত্ত্বেও গত চার বছর ধরে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন ভবনের ফ্যামিলি কোয়ার্টারে বসবাস করছেন। তিনি সহকর্মী অফিস সহায়ক সাবিনা ইয়াসমিনের সঙ্গে একই ভবনের নিচতলায় পাশাপাশি ফ্ল্যাটে থাকছেন। এর আগেও সাবিনা ইয়াসমিন ওই একই কোয়ার্টারে পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা জ্যোতি প্রকাশের সঙ্গে ছিলেন এবং তাদের ‘অসামাজিক সম্পর্ক’ ঘিরে বিতর্ক দেখা দেয়। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ রয়েছে, কামরুজ্জামান মিয়া সরকারি কোয়ার্টারে থাকলেও নিয়মিতভাবে সরকারকে বাসা ভাড়ার টাকা পরিশোধ করেন না। মাসিক ১৫ হাজার টাকা হিসেবে চার বছরে তিনি প্রায় ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা ভাড়া ফাঁকি দিয়েছেন বলেও অনেকে দাবি করেছেন।
অফিস সহকারী (পিয়ন) মোসা. রহিমা বেগম (৪৬) অভিযোগ করে বলেন,“আমি ১৭ বছর ধরে নিয়মিত চাকরি করছি। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত বারবার বলার পরও পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আমার বকেয়া বেতন ও ভাতা না দিয়ে চুপচাপ অফিস ছেড়ে চলে গেছেন। আমি পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ পর্যন্ত করতে পারিনি। নিয়মিত অফিস না করাসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, তিনি বিআরডিবির মূল ম্যানেজিং কমিটির সুপারিশে চাকরিতে নিয়োগপ্রাপ্ত। কিন্তু বর্তমান কর্মকর্তার কর্মকাণ্ডে তিনি চাকরিতে থেকেও চরম অসম্মানিত বোধ করছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত একাধিক দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা এবং অফিসে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে, যার সুবিচার ও তদন্ত প্রয়োজন। তারা বিষয়টি খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (পল্লী উন্নয়ন) এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।