বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম সোহাগ এবং জিউধরা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি খান মহিউদ্দিন রিপনের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন” নামক একটি ফেসবুক আইডি থেকে সাইফুল ইসলাম সোহাগ ও খান মহিউদ্দিন রিপনের বিরুদ্ধে অসত্য তথ্য ছড়ানো হয়েছে। সেখানে বিএনপির মোড়েলগঞ্জ-শরণখোলার ২০১৮ সালের চূড়ান্ত মনোনয়নপ্রাপ্ত নেতা কাজী খায়রুজ্জামান শিপনকেও জড়িয়ে কুৎসা রটানো হয়েছে।
সাইফুল ইসলাম সোহাগ অভিযোগ করে বলেন, “নেতা শিপন ভাইয়ের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল এনসিপি নামধারী দলের ছত্রছায়ায় ও সরকারি দলের ঘনিষ্ঠ দালালদের সহযোগিতায় মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই—মোড়েলগঞ্জ-শরণখোলায় প্রকৃত বিএনপি ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের হেয় করা এবং দলকে বিভক্ত করা।
তিনি আরও বলেন, “আমি ছাত্রদলের সাবেক জেলা সদস্য হিসেবে বিগত ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে মাঠে ছিলাম। এখন কিছু সুবিধাবাদী ব্যক্তি আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে নিজে নেতৃত্বে আসার পথ সুগম করতে চায়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও দাবি করা হয়, তাদের নামে ৫ কোটি টাকা মূল্যের একটি মাছের ঘের দখলের মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তারা বলেন, “এই ঘেরটি ২০২৪ সালে এলাকার প্রকৃত জমির মালিকদের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিকভাবে পুনরুদ্ধার করা হয় এবং ২০২৫ সাল থেকে আমরা আইনগত প্রক্রিয়ায় ঘেরটি পরিচালনা করছি।
সোহাগ ও রিপন অভিযোগ করেন, অতীতে এই ঘেরটি আওয়ামী লীগের এক সন্ত্রাসীর ঘনিষ্ঠ মহর আলী গাজীর নাতি জোরপূর্বক দখলে নিয়েছিল এবং একই ব্যক্তি ‘বৈষম্যবিরোধী’ পরিচয়ে নানা দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করে আসছে। এই বিষয়ে এলাকাবাসী ও জমির প্রকৃত মালিকদের সামনে তার জবাব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তারা।
তারা বলেন, “এ ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার আমাদের সম্মান ক্ষুণ্ণ করেছে এবং সামাজিকভাবে হেয় করেছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিচ্ছি।”
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও সিভিল প্রশাসনের কাছে ঘটনার প্রকৃত তথ্য উদঘাটনেরও আহ্বান জানান তারা।